*মানুষ হিসেবে আমরা সবাই চাই অন্যের চোখে ভালো হতে এবং প্রশংসা পেতে। এবং সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য হতে কিন্তু বাস্তবতা হলো। একজন মানুষ কখনো সবার কাছে ভালো হয়ে থাকতে পারে না। এবং পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ আলাদা দৃষ্টি ভঙ্গি আলাদা স্বভাব আলাদা চিন্তা ধারা আর ভিন্ন প্রত্যাশা নিয়ে চলে। তাই এক জন মানুষের সব কিছু মিলিয়ে সবার মন ভোলানো একে বারে অসম্ভব। এবং আমরা যদি একটু খেয়াল করি তবে দেখব একজন মানুষ যতই ভালো হোক না কেনো। কারও কাছে সে প্রিয় হতে পারে আবার কারও কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। কারণ প্রত্যেকে নিজের মতো করে মানুষকে বিচার করে কেউ হয়তো তার সততা কে সম্মান করে। আবার কেউ সেই সততাকে কঠিন স্বভাব বলে মনে করে আবার কারও উদারতা অনেকের কাছে প্রশংসিত হলেও। সেটা হয়তো অন্য কারও কাছে দুর্বলতা মনে হতে পারে তাই একই আচরণ ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিতে ভিন্ন মানে পাওয়া যায়।* |![](https://cdn.steemitimages.com/DQmdRpbTeE6iYvfX74Anwikxn7itLKBRhGfYAMrGLyhy23U/1758383959639.jpg)[ Pexels: ](https://www.pexels.com/photo/nature-sunny-holiday-love-8531226/)| |-| *আসলে জীবনের পথে অনেকে চেষ্টা করে চার পাশের মানুষকে খুশি রাখতে কিন্তু এতে করে নিজের ভেতরের শান্তি হারিয়ে যায়। কারণ সব সময় সবার প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব না যখন কেউ নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। তখন কিছু মানুষ তাকে স্বার্থপর বলে আবার যখন সে অন্যদের জন্য নিজেকে ত্যাগ করে। তখনও কেউ না কেউ সেটার খারাপ দিক খুঁজে বের করে তাই এখানে স্পষ্ট হয় মানুষ যেমন হোক তাকে নিয়ে সমালোচনা হবে। আসলে মানুষকে ভালো বা খারাপ বলার বিচারটা নির্ভর করে বিচারকের মানসিকতার ওপর। একজন শিক্ষক হয়তো কোনো ছাত্রকে পরিশ্রমী বলে মনে করেন কিন্তু একই ছাত্রের বাবা-মা তাকে অলস ভাবতে পারেন। কারণ তারা ভিন্ন দৃষ্টি কোণ থেকে বিচার করছেন ঠিক তেমনি একজন বন্ধু হয়তো কাউকে সব সময় সাহায্যকারী মনে করেন। কিন্তু কর্মস্থলে সেই মানুষ কে কেউ হয়তো নিজের স্বার্থে ব্যস্ত ভাবতে পারেন তাই সবাইয়ের কাছে ভালো হওয়া আসলে এক প্রকার মায়া।* |![](https://cdn.steemitimages.com/DQmeh7xKARmJNsRDYM9FAfiuqFwhCjqTPYSxXqDe9getxu1/1758384105459.jpg)[ Pexels:]( https://www.pexels.com/photo/person-in-black-suit-hired-an-employee-3760069/)| |-| *আসলে মানুষের জীবনে সব চেয়ে বড় শিক্ষা হলো নিজেকে হারিয়ে ফেলে সবার মন জয় করার চেষ্টা না করে। বরং নিজের মতো করে সত্যিকারের জীবন যাপন করা। এবং অন্যের প্রত্যাশা পূরণের দৌড়ে ছুটতে ছুটতে অনেকে বুঝতে পারে না যে। এই দৌড়ের কোনো শেষ নেই এবং আজ যদি দশজন খুশি হয় কাল আরেক দশজন অসন্তুষ্ট হবে। তাই আসল সুখ হলো নিজের বিবেকের কাছে সৎ থাকা এবং আমরা যদি ভেবে দেখি। মহান ব্যক্তিরাও কখনো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন না ইতিহাসে যারা সত্য কথা বলেছেন। বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন তারা অনেকের কাছে বিরোধিতা পেয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সত্যই আলো হয়ে জ্বলেছে এবং এখানে প্রমাণ হয় ভালো হওয়ার মানে সবার খুশি করা নয় বরং সঠিক পথে থাকা।* |![](https://cdn.steemitimages.com/DQmbH38TWcaKLoYX5DQJtszHG2bgbfdxhsDyFFaDCWFFnGV/1758384172197.jpg)[ Pexels:]( https://www.pexels.com/photo/man-in-red-polo-shirt-thought-a-good-idea-3779432/)| |-| *অন্যের চোখে ভালো লাগা একটি সাময়িক বিষয় কিন্তু নিজের ভেতরের ভালো লাগা দীর্ঘস্থায়ী। এবং একজন মানুষ যদি নিজের জীবনের মূল্যবোধ ধরে রাখে নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকে। এবং নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেয় তবে সেটাই তার প্রকৃত ভালো। আর এ ভালো হয়তো সবার কাছে দৃশ্যমান নাও হতে পারে কিন্তু যাদের চোখে সে ধরা দেবে তাদের কাছে তার মূল্য থাকবে অসীম। এবং একজন মানুষ সব সময় সবার কাছে ভালো হতে পারে না এটা কোনো ব্যর্থতা নয় বরং জীবনের স্বাভাবিক নিয়ম। আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা ও প্রত্যাশা নিয়ে বাঁচি তাই একই মানুষ সবার সাথে এক ভাবে মানানসই হবে না। এবং মানুষ যদি নিজের ভেতরে সত্য ও সততা ধরে রাখে তবে সেটাই তার প্রকৃত শক্তি অন্যের কাছে ভালো না হোক নিজের কাছে অন্তত সে গর্বিত হতে পারবে।* ***ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।*** @baizid123

_{Posted using [SteemMobile](https://play.google.com/store/apps/details?id=com.steempro.mobile)}